বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্রুত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার শেষ চালান ঢাকায় আসছে শনিবার। জাতিসংঘের ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেয়া কোভ্যাক্সের টিকার আওতায় এগুলো আসছে।
শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এদিকে জাপানের টোকিও দূতাবাস তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় টিকার চালানটি নিয়ে অল নিপ্পন এয়ারলাইনসের একটি কার্গো ফ্লাইট হংকংয়ের উদ্দেশে টোকিওর নারিতা বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। হংকং থেকে ফ্লাইট পরিবর্তন করে ক্যাথে এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে শনিবার ঢাকার সময় বেলা সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে টিকা এসে পৌঁছানোর কথা।
দূতাবাস জানায়, এ সময় টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহবুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করি, জাপানের কোভ্যাক্সের আওতায় দেয়া অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৩০ লাখ টিকার শেষ চালান শনিবার ঢাকা এসে পৌঁছবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশকে এই টিকা দিচ্ছে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপান।
ঢাকায় জাপান দূতাবাস নিউজবাংলাকে জানায়, শেষ চালানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা ঢাকা আসবে। এরই মধ্যে তিন চালানে ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ ডোজ টিকা ঢাকা পৌঁছেছে।
এই টিকা সরবরাহ সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, জাপান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের চতুর্থ চালান বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
‘আমরা আরও ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ ভ্যাকসিন ২৮ আগস্ট সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছি, যা বাংলাদেশকে দেয়ার প্রতিশ্রুত ৩ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের অংশ। এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশিদের জন্য। এই ভ্যাকসিন সহায়তা কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে বলে আমরা আশা করি।’
ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপান আশা করছে, বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু, ন্যায়সংগত ও ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এটি পুনরাবৃত্তি করে যে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোভিড-১৯ দমন করতে একসঙ্গে কাজ করবে।’
২১ আগস্ট তৃতীয় চালানে জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ এবং ২ লাখ ৪৫ ডোজের প্রথম চালান; যা ২৪ জুলাই, ৩১ জুলাই ও ৩ আগস্ট ঢাকা আসে।