সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা একজোট হয়ে যখন রাস্তায় নামবে, তখন সরকার পালানোর পথ পাবে না বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
‘ভাত, ভোট ও কথা বলার দাবি’তে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন মান্না। নাগরিক অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন এর আয়োজন করে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো ভোট হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের কথা বলা শুরু হয়েছে, এটা মিছিলে পরিণত হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। ভোট, ভাত ও কথা বলার অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই ডাকাত সরকারের অবসান করতে হবে।’
সরকার দেশকে লুটপাটের রাজ্যে পরিণত করেছে অভিযোগ করে মান্না বলেন, ‘দেশ আজ রাহাজানির বিভীষিকায় আচ্ছন্ন। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লাখো কোটি টাকা দেশের বাইরে তারা পাচার করছে।
‘এক পদ্মা সেতুর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষ আজ না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই মানুষ গুম, খুনের শিকার হচ্ছে।’
বিগত দেড় বছরে দুই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় অনেক স্কুলের অনেক প্রধান শিক্ষক আজ চায়ের দোকান নিয়ে বসেছে। দরবেশকে টিকার ব্যবসা করতে দেয়ায় মানুষ এখন টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
‘এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা বিশ্বে এক নজিরবিহীন ঘটনা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারের গত এক যুগে দেশে ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করলেও মান্না তা বিশ্বাস করেন না। বলেন, ‘সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলেন, ঢাকা শহর ওপর থেকে দেখলে নাকি লস অ্যাঞ্জেলেস মনে করেন। কিন্তু আমি দেখি লস বাংলাদেশ।
‘এক মেয়র জনগণের টাকা চুরি করে নিজের ব্যাংকে রাখলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অথচ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর বিএনপির দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশারও বক্তব্য রাখেন।