কুমিল্লা শহরে ছুরিকাঘাতে আহত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় তাকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ আছে।
পুলিশ বলছে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিথুন ভূঁইয়া মারা যান।
তাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর প্রফেসরপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার বেলা পৌনে ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. মেরাজ ও তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম রাসেল। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম।
ওই যুবকের বাবা লিটন মিয়া জানান, ২৫ আগস্ট তার ছেলে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মেরাজ হঠাৎ এসে মিথুনকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
স্থানীয়রা মিথুনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, মিথুন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জাগ্রত মানবিকতা’র কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। এলাকায় মাদক কারবারি ও সেবীদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানোয় তাদের রোষানলে পড়েন। মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় তার ছেলেকে প্রাণ দিতে হলো। তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, ‘মেরাজ ও তার আত্মীয়দের অত্যাচারে এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ। ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য কেনাবেচা করে তারা।’
ওসি আনওয়ারুল আজিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিথুনকে হত্যার অভিযোগে মেরাজ ও রাসেলকে আটক করা হয়। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগনে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।’