বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর সহচর আব্দুল জব্বারের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৩৯

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের ১৮ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হলে আব্দুল জব্বার প্রতিবাদ করেন। তিনি ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এ জন্য তাকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বারের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একুশে পদক পাওয়া এ মুক্তিযোদ্ধার আদর্শ তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করবে বলে এক বাণীতে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রয়াত এ সংসদ সদস্যকে একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিক হিসেবে বাণীতে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আবদুল জব্বার ১৯৪৫ সালে সিলেট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯২ সালের ২৮ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন, প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাদের অন্যতম।

‘মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ১৯৬২-এর শিক্ষা-আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেয়া বাণীতে বলেন, ‘আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এ জন্য তাকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালে বাকশাল গঠন করে আব্দুল জব্বারকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে তরুণ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বার তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। এ ছাড়া ফ্রিডম পার্টি গঠন করা হলে তার মূলোৎপাটনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

‘একুশে পদকপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতিবিদ। মাটি ও অবহেলিত মানুষের সাথে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল অহংকার করার মতো। তার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে।’

এ বিভাগের আরো খবর