বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বদলি না হলে বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০২

চিঠির নিচে ‌‘ইতি জঙ্গি সংগঠন’ উল্লেখ আছে। লেখনীতে এটা স্পষ্ট যে, বিচারকের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এই হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে দুইবার তাকে টাঙ্গাইল থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলে এক বিচারককে জেলা থেকে বদলি না হলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে কীভাবে তাকে হত্যা করা হবে, তাও বলে দেয়া আছে। বলা হয়েছে, পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে বাঁচাতে পারবে না।

চিঠির নিচে প্রেরকের জায়গায় ‘‌জঙ্গি সংগঠন’ লেখা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, এটি ওই বিচারকের রায়ে ক্ষুব্ধ কোনো একটি পক্ষের কাজ হতে পারে।

এই ধারণার কারণ হিসেবে এক কর্মকর্তা বলেন, চিঠিতে একাধিকবার জেলা থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মানে, তাদের উদ্দেশ্য আসলে তাকে ভয় দেখিয়ে জেলা থেকে সরাতে চায় তারা।

একটি খাকি খামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিনের কাছে এই চিঠি আসে।

চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে মো. জুবায়ের রহমানের নাম লেখা আছে। তবে তার ঠিকানা উল্লেখ করা নেই। এটি একটি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলে তার কার্যালয়ে কাজ করা এক ঘনিষ্ঠ স্বজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা আদায় করা হবে। টাকা না পেলে হত্যা করে মরদেহ যমুনা নদীতে ফেলা হবে।

বিচারক এরই মধ্যে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন আর বাহিনীটি তার ও সেই স্বজনের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তাদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে বদলি না হলে পুলিশ রক্ষা করতে পারবে না বলেও চিঠিতে হুমকি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘একটা কথা মনে রাখবেন, পুলিশ আপনাকে যতই নিরাপত্তার মধ্যে রাখুক না কেন, আপনাকে আমাদের বোমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই প্রাণ বাঁচাতে চাইলে টাঙ্গাইল হতে তাড়াতাড়ি বদলি হয়ে চলে যান।’

চিঠিতে এটা স্পষ্ট যে এই বিচারকের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে এই হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‌‘আমরা জঙ্গি সংগঠনের লোক। তাই জীবনে চলার পথে অনেক অন্যায় কাজ করেছি। এমনকি এখনও করি। আমরা যখন যাকে টার্গেট করি, তখন তাকে ছলেবলে কৌশলে হত্যা করি। এটাই আমাদের পেশা। এবার আপনাকে হত্যা করার পালা।

‘কারণ, আপনি নারী ও শিশু কোর্টে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক বড় ধরনের মামলার রায় দিয়েছেন। তাতে আমাদের লোকজনের খুব বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তাই আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি, যদি নিজের জীবনের প্রতি মায়া থাকে, তাহলে টাঙ্গাইল থেকে বদলি হয়ে চলে যান।

যদি কথা না শোনেন, আমরা আপনাকে হত্যা করতে বাধ্য হবো।’

এতে ওই বিচারককে কীভাবে হত্যা করা হবে, সেটিরও উল্লেখ আছে। বলা হয়, ‘টার্গেট-১: অফিস হতে বাসার মধ্যে আসা-যাওয়ার পথে আপনার গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করা হবে।

‘টার্গেট-২: অফিস চলাকালীন সময়ে লোকজনের ভিড়ের মধ্যে গিয়ে আপনার এজলাস বা খাস কামরার মধ্যে বোমা নিক্ষেপ করা হবে।’

বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ২০২০ সাল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে কাজ করেন।

খালেদা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার পরিবারও এটা নিয়ে খুব শঙ্কায় আছে। চিঠিটি পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ও তার পরিবারের লোকজনদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

র‍্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর