বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাওনা টাকা ফেরতে আলটিমেটাম ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১৪:৫২

গ্রাহকরা বলেছেন, পণ্য কিনতে ই-অরেঞ্জকে তারা যে টাকা দিয়েছেন, তা ফেরতের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুরাহা হতে হবে। তা না হলে আমরণ অনশনে যাবেন তারা।

টাকা ফেরত দিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে সময় বেঁধে দিয়েছেন সংক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

তারা বলেছেন, পণ্য কিনতে ই-অরেঞ্জকে তারা যে টাকা দিয়েছেন, তা ফেরতের বিষয়ে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুরাহা হতে হবে। তা না হলে আমরণ অনশনে যাবেন তারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন ও বিক্ষোভে গ্রাহকরা তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন।

রাজধানীর গুলশানে ই-অরেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল ১০টার পর বিক্ষোভটি শুরু করেছিলেন গ্রাহকরা। সেখান থেকে তারা দুপুরে যান প্রেস ক্লাবে।

পাওনা টাকা পেতে গুলশানে ই-অরেঞ্জ কার্য গ্রাহকদের বিক্ষোভ। ছবি: সৌগত বসু/নিউজবাংলা

প্রায় ৩০০ গ্রাহক ছিলেন প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে। তাদের কয়েকজনের ভাষ্য, ক্রিকেটার মাশরাফির বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনার কথা ভাবেন তারা। তবে এমন ‘প্রতারণার’ শিকার হওয়ার কথা তারা ভাবেননি।

আফজাল নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এত দিন কী করেছে? তাদের এসব কোম্পানির তদারকি করা উচিত ছিল।

‘আমাদের ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে রাখতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে হয়। আর সেখানে কোটি কোটি টাকা লোপাট হলেও কোনো খোঁজ নেয়া হয় না।’

মানববন্ধন ও বিক্ষোভে গ্রাহকরা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

তাদের একজন বলেন, ‘ই-ক্যাব কিছু হলেই বলে নট আউট। তারা নট আউট কেন বলবে? তাদের তো আগে উচিত ছিল এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে খোঁজ নেয়া। আমরা তো জানি না যে কে কাগজ নিয়েছে আর কে নেয়নি।

‘বাংলাদেশ টিমের অধিনায়ক যখন বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেন, আস্থা রাখুন ই-অরেঞ্জে, তখন আমাদের কীভাবে বিশ্বাস হবে এটি ভুয়া?’

গ্রাহক কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সকাল ১০টায় গুলশানে তাদের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে পুলিশ আমাদের বাধা দিলে আমরা প্রেস ক্লাবে চলে আসি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব। আমাদের একটাই দাবি, আমাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।

‘আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে যদি টাকার ব্যাপারে সুরাহা না করা হয়, তবে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’

কী পাওয়া গেছে তদন্তে

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার প্রাথমিক তদন্তে অন্তত ৪৫০ কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে। এ টাকা কোন খাতে গেছে, তা খতিয়ে দেখছে গুলশান থানার পুলিশ।

তদন্তে ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ বিষয়ে মামলার প্রধান তিন আসামি ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এরই মধ্যে এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগে ব্যাংক দুটির স্টেটমেন্ট যাচাই করছি। সেগুলো বিশ্লেষণ করে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করব।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ই-অরেঞ্জের সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ৬২০ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা। আর এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি হিসাবে জমা পড়ে ৩৯১ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৯ টাকা।

এ টাকার পুরোটাই গ্রাহকদের বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অ্যাকাউন্ট দুটির স্টেটমেন্ট বলছে, জমা হওয়ার টাকা থেকে উত্তোলন করা ৬৫৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা গেছে চারটি বাইক বিক্রির প্রতিষ্ঠানে। এরা ই-অরেঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভেন্ডর। বাকি টাকা ই-অরেঞ্জের মালিকসহ নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সময়ে তোলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর