তুরস্কে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ আগস্ট দুপুরে ঢাকা থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান সেনাপ্রধান। তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান।
সেখানে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী মুহসিন দেরে এবং তুর্কি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইসমাইল দেমির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেনারেল শফিউদ্দিন। এ সময় বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জামাদিসহ সব ধরনের সহযোগিতা এবং সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
পরে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন এবং সেখান প্রদর্শিত নানা সামরিক সরঞ্জামের বিষয়ে জানেন সেনাপ্রধান।
ইস্তাম্বুল থেকে আঙ্কারা পৌঁছে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সেনাপ্রধান। পরে তুর্কি চিফ অব ল্যান্ড ফোর্সেস জেনারেল মুসা আভ সেভের এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসের গুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাতে তুরস্ক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সেনাপ্রধান। আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র, প্রশিক্ষণ বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমের (ইউএএস) অপারেশন কন্ট্রোল রুম, আর্মি এভিয়েশন সদর দপ্তর এবং এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ঘুরে দেখেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ।
সফরের শেষ দিনে তুরস্কের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি (এনডিইউ) পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় সম্পর্কে তাকে জানানো হয়। এনডিইউর রেক্টর ইরহান আফইয়োনজু সেখানে তাকে সংবর্ধনা দেন।
ঢাকা ফেরার আগে তুরস্কের প্রথম আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেমাল ইয়েনিও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।