বরিশালের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে ড্রামের ভেতর থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রাকিব মোল্লা নাকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর রুপাতলীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান পিবিআইএর পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
তিনি জানান, ঘটনার আট মাস পর বুধবার মধ্যরাতে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহুতি বাটরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাকিব মোল্লাকে।
গত ২০ নভেম্বর রাতে বরিশালের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে বাসে বহনকরা একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে কাতারপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২১ নভম্বের গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হয়। একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর প্রধান আসামি খালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আদালতে তার দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তিনি বলেন, রাকিব মোল্লা ওই ঘটনায় জড়িত।
সাবিনা হত্যায় রাকিব মোল্লা নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
পিবিআই জানায়, আসামি জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাবিনাকে হত্যা করেন খালেক হাওলাদার। বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুর ভুইয়া মসজিদ সংলগ্ন সঞ্জয় কবিরাজের নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলায় সাবিনাকে ডেকে এনে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে এই হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সাবিনার হাত-পা রশি দিয়ে বেধে প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে নগরীর গড়িয়ার পার বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একটি বাসের দুই আসন বুকিং করে নিজে ড্রামটি নিয়ে গৌরনদীর ভুরঘাটা যান খালেক।
ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে ভ্যান আনার কথা বলে ড্রামটি বাসে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান খালেক। এরপর পুলিশ ড্রামটি উদ্ধার করে।