হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানকে দেখতে গেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান চিকিৎসাধীন তোয়াব খানকে দেখতে যান। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের থেকে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। সংবাদপত্র জগতের জীবন্ত এই কিংবদন্তির দীর্ঘায়ুও কামনা করেন তিনি।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ আগস্ট থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তোয়াব খান। তিনি বর্তমানে কার্ডিওলজিস্ট ডা. কায়সার নাসিরুল্লাহর অধীনে আছেন।
তোয়াব খানের সাংবাদিকতা-জীবনের শুরু ১৯৫৫ সালে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন তিনি। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তার লেখা ও পাঠ করা ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের প্রত্যেক বাঙালিকে প্রেরণা জোগাত।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তোয়াব খান যোগ দেন দৈনিক বাংলায় (অধুনালুপ্ত দৈনিক পাকিস্তান)। ১৯৭২ সালে তিনি এই পত্রিকার সম্পাদক হন।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
পরে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতায় ফেরেন। তবে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসা খালেদা জিয়ার সরকার তাকে চাকরিচ্যুত করে। পরে ১৯৯৩ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক জনকণ্ঠে।