সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
আগামী ২ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ৭ম বর্ষপূর্তি ক্যাম্পেইনে থাকবে বিশেষ ভাউচার কোড ও মেগা ভাউচার অফার।
এছাড়া দারাজ মল ভাউচার, গ্লোবাল কালেকশন ভাউচার, সারপ্রাইজ ভাউচারসহ অ্যাড টু কার্ড গিফট ডিসকাউন্ট এবং অনুমোদিত পেমেন্ট মেথড ব্যবহারে নিশ্চিত অতিরিক্ত ছাড় ও দারুণ ক্যাশব্যাক সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা জানানো হয়।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে দারাজ।
বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে দারাজের চিফ একিক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিক্কেলসেন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, চিফ কমার্সিয়াল অফিসার ফুয়াদ আরেফিন তন্ময়, চিফ আপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দারাজের হেড অফ পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন সায়ন্তনী তিশা এবং অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
দারাজের চিফ একিক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ার্কে মিক্কেলসেন বলেন, দারাজের অনেক নতুন উদ্যোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, লাইভ স্ট্রিমিং। এখন দারাজ অ্যাপে বিভিন্ন ক্রিকেট খেলা সরাসরি দেখা যাবে। ভবিষ্যতে অন্য খেলাও দেখা যাবে। এছাড়া সেলার ও গ্রাহকদের সরাসরি যোগাযোগ করতেও লাইভ স্ট্রিমিং কাজে আসবে। সেলারদের জন্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লাইভ স্ট্রিমিং দেখে গ্রাহকরা সেখান থেকেই পণ্যের অর্ডার দিতে পারবেন।
দারাজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, গ্রাহকই দারাজের প্রাণ। তারাই ঠিক করবেন দারাজ কোথায় যাবে। তারাই প্রথম প্রায়োরিটি। আগে দারাজে বাংলায় সার্চ করা যেত না। এখন গ্রাহকের সুবিধার্থে দারাজের অ্যাপ বাংলা ও ইংরেজি—দুই ভাষায়ই ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া আগে হয়তো কোনো কোনো জেলায় পণ্য পৌছতে ৪ দিন সময় লাগত এখন তা পরের দিনই যাচ্ছে। দারাজের রেগুলার ইউজার ও গ্রাহকের জন্যও নতুন বছরে অনেক ছাড় থাকবে। এছাড়া লাইভ স্ট্রিমিংও আছেই।
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাহিদুল হক বলেন, গ্রামে ইন্টারনেটের স্পিড কম। তাই আমরা দারাজ ভিলেজ ও দারাজ স্টোর তৈরি করছি। এর আওতায় গ্রামের একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে দারাজের ইন্টারসেট সেবা থাকবে। সেখানে দারাজের লোকজন গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দেবেন। গ্রামের লোকজন তাদের পণ্যও বিক্রি করতে পারবেন অনলাইনে।
দারাজের চিফ কমার্সিয়াল অফিসার ফুয়াদ আরেফিন তন্ময় বলেন, এবারের ক্যাম্পেইনে ৩৭ হাাজর ডিলার অংশ নিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ প্রোডাক্ট থাকবে, ফ্ল্যাট সেল থাকবে, প্রাইজ ডিসকাউন্ট ভাউচার থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা কাস্টমাররা আরও দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়েই তাদের পণ্য পাবে সে ব্যবস্থা করা হবে।
চিফ আপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, আরও দ্রত পণ্য পৌঁছে দিতে দারাজের নিজস্ব ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ শতাংশ পণ্য ডেলিভারির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ৬৪টি জেলায় দারাজের অফিস রয়েছে। তিন হাজারের বেশি রাইডার রয়েছে দারাজে। ৩৫০টি ভ্যান, যা দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
অনুষ্ঠানে কুইজের মাধ্যমে তিনজন গ্রাহককে পুরস্কারের জন্য বেছে নেয়া হয়।