সিলেট শহরের ক্বিন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্যানিটারি পণ্য বিক্রয়কারী ৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দোকানের সামনে রাখা পণ্যের স্তুপে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠান তিনটির নাম জানাননি তারা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো স্যানিটারি পণ্য বিক্রির জন্য দোকানের সামনে ফেলে রাখে। বৃষ্টির কারণে সেগুলোর মধ্যে পানি জমে তাতে ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশার লার্ভার জন্ম হয়।
আদালত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দায়িত্বহীন আচরণ ও সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে রাখার অভিযোগে মামলা করে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পণ্যগুলো ৭ দিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে ও এডিসের লার্ভা ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়।
দোকানের সামনে রাখা স্যানিটারি পণ্যের স্তুপে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এডিস দমনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে করপোরেশন। নগর জুড়ে ডেঙ্গু মশার উৎসস্থল চিহ্নিত ও ধ্বংসে অভিযান চলমান থাকবে।’ এ ছাড়া বাসা-বাড়ির ভেতরে যাতে ডেঙ্গু মশার উৎস না থাকে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে করোনার মহামারিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে ডেঙ্গু যাতে হানা দিতে না পারে সেজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মেয়র বলেন, ‘কোনভাবেই বাসা-বাড়ির ছাদ, ফুলের টব, এসির জমানো পানি, নারিকেলের খোসা, টায়ার-টিউব কিংবা টিনের কৌটা, নির্মাণাধীন ভবন, সরকারি বেসরকারি ভবনের ছাদ ইত্যাদি স্থানে পরিষ্কার পানি যেন জমে না থাকে। এসব স্থান এডিস মশার প্রজননের জন্য আদর্শ।’
এ ছাড়া এডিস মশার উৎসের সন্ধান পেলে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।