অস্ত্র আইনে মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্যদাতারা হলেন র্যাবের পরিদর্শক শফিউল্লাহ, ফরেনসিক এক্সপার্ট মিজানুর রহমান ও এএসআই মমিনুল ইসলাম।
তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম অনি ও ফারুক আহাম্মদ।
তুরাগ থানায় করা অস্ত্র মামলাটির সাক্ষী ১৩ জন। এর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলাটির আরও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী রোববার দিন রেখেছে আদালত।
গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী মালেকের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। গত ১১ মার্চ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয় বলে জানায় র্যাব।
বাহিনীটি জানায়, রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন।
এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়ার বামনের টেক এলাকার ৪২ নম্বর হাজি কমপ্লেক্স নামের সাততলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের একজন চালক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কাজ করেছেন।