বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫৭

‘একে একে খুলে দেয়া হলো বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান, খুলে দেয়া হলো গণপরিবহন, লঞ্চ-স্টিমার, দোকানপাট, হাটবাজার, মসজিদ, অফিস-আদালত। শুধু বন্ধ থাকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।’

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।

অন্যথায় নিজ দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই দিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এল এম কামরুজ্জামান এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা।

জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় নিজ দায়িত্বেই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৮টি মাস আমরা বারবার আশার আলো দেখেছি। অসহায় ক্ষুধার্তচিত্তে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছি, আমাদের প্রতিষ্ঠান খুলবে, আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াব। আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান আবার মুখরিত হবে ছোট ছোট সোনামণির পদচারণে। কিন্তু বিধিবাম। একে একে খুলে দেয়া হলো বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান, খুলে দেয়া হলো গণপরিবহন, লঞ্চ-স্টিমার, দোকানপাট, হাটবাজার, মসজিদ, অফিস-আদালত। শুধু বন্ধ থাকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।’

তিনি বলেন, ‘এই ১৮টি মাস আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। মাস পেরোলেই সংসার খরচ, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, পাওনাদারের চাপ ইত্যাদি দরজার সামনে এসে কড়া নাড়তে থাকে। দুমুঠো ডাল-ভাত খেয়ে জীবনধারণ যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এত এত চাপ নেয়া আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে। এসব চাপ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমার সহকর্মী ভাইয়েরা কেউ কেউ আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথও বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। কেউ আবার বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করে দিনমুজর, রিকশাচালক, শ্রমিক, রাজমিন্ত্রির জোগালি, ফুটপাতের ব্যবসায়ী অথবা হোটেল কর্মচারীর কাজে যোগ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি লজ্জাজনক অধ্যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর