বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৪ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৯:১৬

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হত্যার শিকার আলমের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন, চুয়াডাঙ্গা সদরের জয়ারামপুর গ্রামের খোকন, চন্দ্রপুর গ্রামের মুকুল এবং আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম।

১৪ বছর পর মেহেরপুর সদরের বলিয়ারপুরে আলম হত্যা মামলায় তার স্ত্রীসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মেহেরপুর সদরের বলিয়ারপুর গ্রামে খুন হন আলম। তিনি গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন, চুয়াডাঙ্গা সদরের জয়ারামপুর গ্রামের খোকন, চন্দ্রপুর গ্রামের মুকুল এবং আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামে রাস্তার ওপর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ পড়েছিল। তার দুই হাত পাট দিয়ে বাঁধা এবং গলা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো ছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে নেয়।

পুলিশ পরে মরদেহটি বলিয়ারপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আলমের বলে শনাক্ত করে।

এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই শওকত আলী মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আট জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড়াদী ক্যাম্পের তখনকার ইনচার্জ আব্দুস সালাম মিয়া প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ওই মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আলমের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন, খোকন, মুকুল ও আসাদুল দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে জানান, এ মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর