ঘুষ গ্রহণের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি হলেন ডিআইজি মিজানের ড্রাইভার কনস্টেবল এনামুল হক।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে বৃহস্পতিবার এনামুল হক সাক্ষ্য দেন।
এদিন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময় চাইলে আদালত তা না দিয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এনামুল হক জানান, তিনি ডিআইজি মিজানের ড্রাইভার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় ডিআইজি যেখানে যেতে চাইতেন সেখানেই তাকে নিয়ে যেতেন। রমনা পার্কেও ডিআইজি মিজান গিয়েছেন মর্মে তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন।
সাক্ষ্য নেয়ার সময় বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে আসামি মিজান ও বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এনিয়ে মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
এসব তথ্য মিজান-বাছিরের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা সাক্ষীকে জেরা করতে চেয়েছিলাম। আদালত সে সুযোগ দেয়নি। এতে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।'
ডিআইজি মিজানের ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহ মামলা করেন। গত বছর ১৯ জানুয়ারি তিনি আদালতে চার্জশিট দেন।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন । পরে আদালত চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন বাতিল করে চার্জগঠন করা হয় এবং বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।