বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাবুলে খোঁজ মিলছে না বন্দি ২ বাংলাদেশির

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৮:০৯

তাসখন্দ দূতাবাস জানায়, গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের সময় প্রথমে পুল-ই-চারকি কারাগার খুলে দিয়ে আইএস সদস্য ছাড়া সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই কারাগারে আটক ছিলেন তিন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে মঈন আল মেজবাহ নামের এক বাংলাদেশি কারাগার থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক আফগান পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে আউট পাস পাঠিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রীয় কারাগার ‘পুল-ই-চারকি’তে বন্দি দুই বাংলাদেশির খোঁজ মিলছে না।

উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে এ তথ্য।

ওই দুই বাংলাদেশি হলেন কাওসার সুলতানা ও ওবায়দুল্লাহ। তাদের সঙ্গে কারাবন্দি অপর বাংলাদেশি একটি আফগান পরিবারের আশ্রয়ে নিরাপদে আছেন।

তাসখন্দ দূতাবাস জানিয়েছে, আফগানিস্তানে আটকে পড়া সব বাংলাদেশি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন, তবে তাবলিগে যাওয়া ছয়জন দেশে ফিরতে চাননি। তারা পাকিস্তান সীমান্তের আফগান শহর জালালাবাদে অবস্থান করছেন।

নিখোঁজ দুই বাংলাদেশিকে নিয়ে কী জানা গেল

তাসখন্দ দূতাবাস জানায়, গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের সময় প্রথমে পুল-ই-চারকি কারাগার খুলে দিয়ে আইএস সদস্য ছাড়া সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই কারাগারে আটক ছিলেন তিন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে মঈন আল মেজবাহ নামের এক বাংলাদেশি কারাগার থেকে বেরিয়ে গিয়ে এক আফগান পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে আউট পাস পাঠিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

কিন্তু ওই কারাগারে ঢাকার ভাষানটেকের নারী কাওসার সুলতানা ও ফেনীর ওবায়দুল্লাহর খোঁজ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

খোঁজ মিলেছে ৩০ জনের

দূতাবাস জানায়, আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত ৩০ বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন এরই মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছেন। অন্যদেরও নিরাপদে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বরিশালের ফারুক হোসেন ও কুমিল্লার মহিউদ্দিন কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে কাজ করতেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানে কাবুল থেকে দোহা হয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেছেন।

ব্র্যাকের আটকে পড়া ছয় কর্মীর মধ্যে তিনজন আমেরিকান ফ্লাইটে দোহায় পৌঁছেছেন।

ঢাকার করিম শিকদার, রংপুরের আসাদুজ্জামান ও রকিবুল হক মৃধা জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে রয়েছেন।

জার্মানির ফিচনার কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি মো. রেজাউল করিম এবং এএন মিজানুর রহমান তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে উজবেকিস্তানের ভিসার ব্যবস্থার কথা বলেছেন। ভিসা হলে তারা জার্মানির বিশেষ বিমানে তাসখন্দ যেতে পারবেন।

কী বলছেন রাষ্ট্রদূত

উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি উজবেকিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি, যার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে ট্রানজিট ভিসা দিয়েছে দেশটি। উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানে আটকে পড়া যেকোনো বাংলাদেশিকে ফেরানোর জন্য ট্রানজিট ভিসা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের সহায়তা করার জন্য সব বিমানবন্দরে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেসব বাংলাদেশির পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে তাদের জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করছে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস।

‘আফগানিস্তানে আটকে পড়া যারা আর্থিক সংকটে রয়েছেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠানো হয়েছে। আটকে পড়া বাংলাদেশিরা ভালো আছেন। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা উজবেকিস্তানে আসতে পারলে বিভিন্ন ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সহজ হবে। যদিও আফগান শরণার্থীরা যাতে ঢুকে পড়তে না পারে, সে জন্য স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে উজবেকিস্তান।’

আটকে পড়া বাকিদের কী অবস্থা

আফগান টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এডব্লিউসিসিতে কাজ করতেন সাত বাংলাদেশি প্রকৌশলী। তারা কাবুলে আটকা পড়েছেন।

ওই প্রকৌশলীরা হলেন রাজিব বিন ইসলাম, কামরুজ্জামান, নজরুল ইসলাম, মাসুদ করিম, মো. ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মো. মনিরুল হক।

এ ছাড়া এডিবির হাইওয়ে প্রকল্পে কর্মরত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন কাবুলে আটকা পড়েছেন।

উত্তরাঞ্চলীয় মাজার-ই-শরিফে আটকে পড়েছেন ইএনএফজেড কোম্পানিতে কর্মরত প্রকৌশলী আবুল খায়ের, মো. মনিরুল হক ও শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন।

ব্র্যাকের সরফরাজ সিদ্দিক, কামাল হোসেন ও ইউসুফ হোসেন আটকা পড়েছেন।

কাবুলে গ্র্যান্ড টেকনোলজি অ্যান্ড রিসোর্সে কাজ করতেন সোহরাব হোসেন। আফগানিস্তান সরকারের নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্পে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ছিলেন মৃদুল কান্তি বিশ্বাস। তারা এখন কাবুলে আটকে আছেন।

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তাবলিগ জামাতের ছয় সদস্য ফিরে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোনো সহায়তা চাননি।

মার্কিন ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে ফিরতে পারেন ১৬০ শিক্ষার্থী

ছুটিতে বাড়ি গিয়ে কাবুলসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে আটকা পড়েছেন আফগানিস্তানের ১৬০ শিক্ষার্থী। এদের সবাই চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সানাউল করিম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার খবর জেনেছি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম, যুক্তরাষ্ট্রের সাপোর্ট ফোরাম, ইউএসএআইডি ও বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে তারা ফিরে আসছেন।

‘সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং করে থাকে। তাই তারাই এ বিষয়ে সব জানে। তারা কোন বিমানে, কখন, কোথায় অবতরণ করবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ১৬০ আফগান শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফিরতে পারেন কয়েকজন আটকে পড়া বাংলাদেশি। শেষ খবর অনুযায়ী আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিমানবন্দরেই ঢুকতে পারেননি।

রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকজন আফগান আমাদের কাছে ভিসার আবেদন করেছিলেন। তাদের ভিসা দেয়াও হয়েছে। কিন্তু তারা আসতে পারেননি পাসপোর্ট নিতে। উজবেক সরকার শরণার্থী ঢল সামলাতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর