আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য আফগানিস্তানের কান্দাহার বিমানবন্দর খুলে দিয়েছে তালেবান। এতে দেশটিতে আকাশপথে যোগাযোগে বিকল্প তৈরি হলো। গত কিছু দিন ধরে আফগানিস্তানে যোগাযোগে বিমানগুলোর জন্য একমাত্র অবলম্বন ছিল কাবুল বিমানবন্দর।
অচলাবস্থার পর কান্দাহারে প্রথম ফ্লাইটে প্রতিবেশী তাজিকিস্তান থেকে এসেছেন ‘ডক্টর উইদাউট বর্ডার্স’-এর কয়েকজন কর্মী। তাদের পাসপোর্টে আফগানিস্তানের বদলে ‘ইসলামিক এমিরেটস’ সিল দেয়া ছিল।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর কাবুল ছাড়া অন্য সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়।
কাবুল বিমানবন্দর খোলা থাকলেও তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে। সেখান থেকে নিজেদের ও মিত্র দেশগুলোর নাগরিক, তাদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
কাবুলে আল-জাজিরার প্রতিবেদক শার্লট বেলিস বৃহস্পতিবার জানান, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য কান্দাহার বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আজ তাজিকিস্তান থেকে প্রথম ফ্লাইট কান্দাহারে এসেছে। ফ্লাইটে ‘ডক্টর উইদাউট বর্ডার্স’-এর কিছু চিকিৎসককে নিয়ে আসা হয়েছে। আফগানিস্তানে আসা তারাই প্রথম ব্যক্তি, যাদের পাসপোর্টে প্রথম ইসলামিক এমিরেটস লেখা সিল পেয়েছেন।’’
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান আফগানিস্তানে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী দেশ পরিচালনার কথা জানায়। এমনকি আফগানিস্তানকে তারা ইসলামিক এমিরেটস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
কান্দাহার বিমানবন্দর সচলে আফগানিস্তানে বিমান অবতরণে বিকল্প তৈরি হলো। কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেলেও কান্দাহার থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিবেদক।
কাবুল বিমানবন্দরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই সেখানে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্টের পর আর উদ্ধারকাজ করবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
বিবিসির বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দরে না যেতে বলেছে। বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান নেয়া নাগরিকদের দ্রুততার সঙ্গে ওই এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে।
শাসক দল হতে যাওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ৩১ আগস্টের পরও বিদেশি ও আফগানদের কাবুল ছাড়ার সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কাবুল বিমানবন্দর থেকে আফগানিস্তান ছেড়েছে ৮২ হাজারের বেশি মানুষ।