নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে বিএনপি। এতে দেখা যাচ্ছে, গত বছর নানা খাতে বিএনপির খরচ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা।
ইসি সচিবের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
হিসাবে দেখা যায়, ২০২০ সালে বিএনপির আয় ১ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৯ টাকা; ব্যয় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা।
বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, দলীয় সদস্যদের চাঁদা, নমিনেশন ফরম বিক্রি, অনুদান, ব্যাংকের সুদ হিসাব থেকে দলের আয় আসে। ব্যয় হয় অফিস স্টাফদের বেতন, বোনাস, ইউটিলিটি বিল, ত্রাণ সহায়তা, আহত নেতা-কর্মীদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে।
ঘাটতি হলে তা পূরণ করা হয় দলীয় অ্যাকাউন্টে থাকা মূলধন থেকে।
দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, দেশে কোনো রাজনৈতিক পরিবেশ নেই। নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সব জায়গায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
‘বিএনপি একটি নিবন্ধিত বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও দলের সকল কর্মকাণ্ডে সরকার বাধা প্রদান করছে। দলটি লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রতিদিন মামলা হামলার শিকার হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। আর আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই। দেশে যদি অবাধ এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জন্য দিতে হয় তাহলে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।’