বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে থাকবে ১৭ অক্টোবর থেকে

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৬:২৯

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নিউজবাংলাকে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে টিকা প্রদান সাপেক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলতে পারবে।’

ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খোলা শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে। তবে এর আগে সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিকা সক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে সেগুলো আগে খুলবে।

করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

নিউজবাংলাকে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে টিকা প্রদান সাপেক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে খুলতে পারবে। এ বিষয়ে টিকাদানের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

বৈঠকে অংশ নেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন সে তথ্য ছক আকারে ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।’

ছক আকারে তথ্যের মধ্যে কতজন টিকার ডাবল ডোজ নিয়েছেন এবং কতজন টিকার এক ডোজ নিয়েছেন তা উল্লেখ থাকবে বলে জানান ওই উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘এসব তথ্য বিবেচনা করে সন্তোষজনক হলে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমোদন পাওয়া যাবে। যাদের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধই থাকবে। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’

বৈঠকে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এ দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং তিন সচিব উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্যদসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত বুধবার দীপু মনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে।

বৈঠকে অংশ নেয়া ইউজিসি সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে এখন একটিই সমস্যা তা হলো শিক্ষার্থীদের তথ্য। কোন কোন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন, কবে নিয়েছেন সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা আমাদের জানাতে পারেননি।

‘অন্তত এক ডোজ টিকা শিক্ষার্থীদের না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না। অথবা যাদের টিকার সার্টিফিকেট আছে তারা শ্রেণি পাঠে সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। তবে দীর্ঘ ২ মাস ধরে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো সমাধান করা হয়নি। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের দিতে পারেনি।’

ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো পেলে আমরা নির্বাচন কমিশন অথবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো একটি চুক্তি করতে পারতাম। কোনো বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা অথবা এনআইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা যেত, কিন্তু এখন পর্যন্ত তথ্য না থাকায় কোনো সমাধান আসেনি। এ কারণে শিক্ষার্থীদেরও এগিয়ে আসা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর