বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০৪

বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই ছুটি দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই ছুটি দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো:

০১. সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যায় সে বিষয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটি যৌথ বৈঠক হবে।

০২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে। এই পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় ‘চেকলিস্ট’ প্রণয়ন করা হবে।

০৩. আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীর করোনারোধী টিকা সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাবে।

০৪. টিকাদান সহজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে সকল জেলায় একটি বা একাধিক টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করা হবে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।

দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

গত বুধবার দীপু মনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব প্রস্তুতি তাদের আছে। করোনা পরিস্থিতি আর একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, ততই বাড়বে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।

এ বিভাগের আরো খবর