শরীয়তপুরের জাজিরায় ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ফেরিঘাট। এই ঘাটে ভিড়তে শিমুলিয়া প্রান্তে অপেক্ষায় আছে কুঞ্জলতা ও কদম নামের দুটি ফেরি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ও আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচলের সময় জানাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বাণিজ্য বিভাগের পরিচালক মো. আশিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার থাকবেন। তারা ঘাট উদ্বোধন, ফেরি চলাচলের সময়সূচি বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও পন্টুন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ঘাট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। কখন থেকে পরীক্ষামূলক ও আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল করবে সেটা বিআইডব্লিউটিসির সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঘাট চালুর কথা শুনে মোটরসাইকেলে ঘাটে এসেছেন ইমন হোসেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছিলাম আজ থেকে ফেরি চলাচল করবে। সে জন্যই এই সহজ পথে পারাপারের জন্য ঘাটে এসেছি কিন্তু ঘাটে দেখি কোনো ফেরি নেই। কবে কখন ফেরি চালু হবে সেটাও কেউ বলতে পারছে না। আবার ঘুরে যেতে হবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দিয়ে।’
স্থানীয় মোকলেস মাদবর জানান, ফেরি চলার সংবাদে সকাল থেকে মানুষজন ঘাটে ভিড় করছে। দুপুর হয়ে গেলেও কোনো ফেরি দেখা যায়নি।
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ বন্ধ করে দেয়ায় মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া হচ্ছে ফেরি চলাচলের নতুন নৌপথ।
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পিলারে তিনবার ফেরির ধাক্কা লেগেছে।
২৩ জুলাই নির্মাণাধীন সেতুটির ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শাহজালাল নামের একটি রো রো ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। এরপর ৯ আগস্ট বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের আরেকটি রো রো ফেরি ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। ১০ নম্বর পিলারেই ১৩ আগস্ট কাকলি নামের একটি ফেরি ধাক্কা দেয়।
তীব্র স্রোতের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেছে কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়।