ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রবাসী ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের বিরুদ্ধে।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শারফুল ঢালী মারা যান।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পারিবারিক বিবাদের জেরে বাবা ইসহাক ঢালী, মা হোসনে আরা, ছোট ভাই আশরাফুল ঢালী লোহার রড ও শাবল দিয়ে শারফুল ঢালীকে পিটিয় হাত-পা ভেঙে গুরুতর আহত করেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা হোসনে আরাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ২৮ বছর বয়সী শারফুল ঢালীর বাড়ি উপজেলার চাকুয়া গ্রামে।
পাগলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শারফুল ৮ বছর লেবাননে চাকরি করে ৬ মাস আগে দেশে ফিরে আসেন। প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় আয়-রোজগারের সব টাকা তিনি তার বাবার নামে দেশে পাঠাতেন। দেশে ফিরে টাকার হিসাব চাইলে তার বাবা হিসাব দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা, মা ও ছোট ভাই লোহার রড ও শাবল দিয়ে শারফুলকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে গুরুতর আহত করেন। পরে বাড়ির একটি কক্ষে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ সময় শারফুলের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার পরিবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিবেশীদের তাড়া করেন।’
পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শারফুলকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মারা যান শারফুল।
এ বিষয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা হোসনে আরাকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে শারফুলের বাবা ও ছোট ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।