মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে বুধবার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে বিচারিক আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। একই সঙ্গে পরীমনির জামিন চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী মজিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘একটি মাদক মামলায় জামিনের আবেদন তাৎক্ষণিক না শুনে লম্বা তারিখ ধার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেছি। সঙ্গে পরীমনির জামিনও চেয়েছি।’
গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত।
২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
১৯ আগস্ট পরীমনির এক দিনের রিমান্ড দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
এর আগে ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
কারা সূত্র জানায়, নায়িকা পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়।
৫ আগস্ট র্যাব-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা হয়।