যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে দুই জেলার বেশ কিছু গ্রামের বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট তলিয়েছে এক দিনে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে যমুনার পানি বেড়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, জেলায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে অভ্যন্তরীণ ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানিও বেড়েছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল এবং অভ্যন্তরীণ নদীতীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। শত শত পরিবার এখন পানিবন্দি।
সূত্র জানায়, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পানি এভাবে বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ।
কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ভৈরববাড়ী গ্রামে পানি ওঠায় প্রায় দেড় শ পরিবার এখন গৃহহীন। তারা আশ্রয় নিয়েছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়।
তিনি জানান, এখন ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামই পানিতে তলিয়েছে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাসার বলেন, ক্ষেতে পানি প্রবেশ করায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হেক্টর আমন বন্যায় তলিয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে এক দিনে যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকালে এই রিডিং রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পানিতে তলিয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। সেখানকার রাস্তাঘাটে পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, যমুনার পানিতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন ধানক্ষেত। গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরা।