বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংস্কার হয়নি সংযোগ সড়ক, সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় ব্রিজে

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৩:২০

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যার কারণে কয়েকবার ধসে যাওয়ায় এক যুগ আগে নদীসংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে ব্রিজ দুটির গোড়ায় দেয়াল নির্মাণ করে দেন। তবে এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ২ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন দেয়াল দুটি ভেঙে দেয়। ফলে তীব্র স্রোতে আবারও গত বছর ব্রিজ দুটির সংযোগ সড়ক ধসে যায়।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দুটি ব্রিজের সংযোগ সড়কে ধসের এক বছর পেরিয়ে গেলেও করা হয়নি সংস্কার। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই কামারখাড়া-হাসাইল ও কামারখাড়া-আদাবাড়ি সড়কের বাইনখাড়া এলাকার ব্রিজ দুটির সংযোগ সড়কের গোড়ার মাটি বন্যার পানির স্রোতে ধসে যায়। এতে মুন্সিগঞ্জ সদর ও ঢাকার সঙ্গে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বাইনখাড়া, নশংকর, কামারখাড়া, ভাঙ্গনিয়া, হাসাইল, আদাবড়ি, বরাইল, চৌসার, ভিটিমালধাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলার হাসারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধস প্রতিরোধে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কামারখাড়া-হাসাইল সংযোগ সড়কের দুই পাশে জিও ব্যাগ ভর্তি কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। বস্তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পার হতে পারলেও এই পথে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

আর কামারখাড়া-আদাবাড়ি সংযোগ সড়কের ওপর নির্মিত ব্রিজটির একপাশে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হলেও আরেক পাশে একটি বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়েছে। ওই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া-হাসাইল সংযোগ সড়কে ধস প্রতিরোধে ব্রিজের দুই পাশে জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

গুরুত্বপূর্ণ ওই দুটি সড়কে ব্রিজের এক পাশে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে আবার অপর প্রান্তে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে মালপত্র নিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাস্তায় চলাচলকারী সামাদ সেখ বলেন, ‘ব্রিজ তো হইছে ঠিকই কিন্তু ভোগান্তি আরও বাড়ছে। ব্রিজের গোড়ার মাটি সইরা গেছে। বছর ধইরা ভাইঙ্গা থাকলেও ঠিক করতাছে না। গাড়ি চলে না, একধারে আইসা গাড়িতে উঠে আরেক ধারে গিয়ে নামতে হয়।’

পথচারী হারুন মিয়া জানান, দুই ইউনিয়নের মানুষের মাওয়া যেতে হলে এ ব্রিজ পর্যন্ত আসতে হয়। ব্রিজের সঙ্গে রাস্তার বালু সরে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল করতে পারে না। বালু ফেলে সমান করে দিলেই সরাসরি গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যার কারণে কয়েকবার ধসে যাওয়ায় এক যুগ আগে নদীসংলগ্ন বাইনখাড়া এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে ব্রিজ দুটির গোড়ায় দেয়াল নির্মাণ করে দেন। তবে এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ২ বছর আগে উপজেলা প্রশাসন দেয়াল দুটি ভেঙে দেয়। ফলে তীব্র স্রোতে আবারও গত বছর ব্রিজ দুটির সংযোগ সড়ক ধসে যায়।

সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এ ছাড়া ব্রিজের সংযোগ সড়ক মজবুত না করে নিচের দেয়াল ভেঙে দেয়াকে প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সংযোগ সড়ক মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। দ্রুত সংযোগ সড়ক সংস্কারের কাজ ধরা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এরই মধ্যে বালুর বস্তা ফেলে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই দুটি ব্রিজের গোড়া থেকে পৌনে চার কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত ঠিকাদাররা সংস্কারকাজ শুরু করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর