চট্টগ্রামের মুরাদপুরে নালায় ডুবে যাওয়া ব্যবসায়ীর খোঁজ মেলেনি এখনও। তাকে খুঁজতে খালের বিভিন্ন অংশে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় মরদেহ ভেসে উঠতে পারে। তাই ওই খালের যেসব জায়গায় আটকে থাকার সম্ভাবনা আছে, সেসব স্থানে সকাল সাতটা থেকে খোঁজ করা হচ্ছে।’
নিখোঁজ সবজি ব্যবসায়ীর নাম ছালেহ আহমেদ। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা চৌমুহনী এলাকায়। তিনি নগরীর চকবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ছালেহকে খুঁজতে বেলা ১১টা থেকে নগরীর শমশেরপাড়া এলাকার খালের অংশে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী জানান ছালেহ আহমেদ চকবাজার থেকে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারি দরবার শরিফে যাচ্ছিলেন। পথে ওই জলাবদ্ধ নালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নগরীর মধ্যে এত বড় নালা উন্মুক্ত থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নালাটি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
নগরীর মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনের ওই নালার গভীরতার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বিপ্লব বলেন, ‘নালা খুব একটা গভীর নয়। সকালে ওই ব্যবসায়ী যখন পড়ে যান তখন পানিভর্তি নালাটির গভীরতা ১০ ফুটের মতো ছিল। পরে পানি কমে গেছে। এখন গভীরতা চার ফুটের মতো আছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, ‘এখন বৃষ্টির কারণে আমাদের কাজ বন্ধ আছে। কাজ চলাকালীন নালা বা খালের পাশে সতর্কবার্তা থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার আগেও কিন্তু এই খালটি উন্মুক্ত ছিল। তাছাড়া ওই এলাকার লোকজন তো জানে রাস্তার পাশে নালা আছে। বিপদ তো কাউকে বলে আসে না। আর রাস্তার পাশে ফুটপাত আছে, সেটা পেরিয়ে নালা।
‘ফুটপাত মূল সড়ক থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে। তবে আমাদের কাজ শেষ হলে আমরা ফুটপাত আরও উঁচু করে দেব যেন গাড়ি উঠতে না পারে। একই সাথে নালা বা খালের দুই পাশে ছোট করে রঙিন রেলিং দিয়ে দেব যেন মানুষ বুঝতে পারে এটা নালা বা খাল।’