মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে করা মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার এ তারিখ ঠিক করেন।
কেরানীগঞ্জের কারা ভবনে নির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলা দুটির চার্জ (অভিযোগ গঠন) শুনানি হয়নি। আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় চার্জ শুনানির নতুন এ তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।’
কী বলা হয়েছে মামলা দুটির অভিযোগে
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশিটে জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট।
সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওই দিন জন্মদিন পালন করেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানির অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন।
দুই মামলাতেই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের তারিখ দিয়েছেন বিচারক।