গাজীপুরের শ্রীপুরের ডালেশ্বর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে গবাদি পশুর লেজ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গরুটির মালিক আক্তারুজ্জামান বুধবার থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত মতিউর রহমান ডালেশ্বর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে আক্তারুজ্জামানের ছেলে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে গরুর লেজ কেটে নেয়।
আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবার নিয়ে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ডালেশ্বর গ্রামে সরকারি জমিতে ঘর তুলে বসবাস করেন তিনি। বাড়ির পাশে একটি ছোট মুদি দোকান চালানোর পাশাপাশি দুটি গরু পালন করেন। গরু দুটি তার ১২ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে মেহেদী হাসান দেখাশোনা করে।
মঙ্গলবার গরু দুটি বাড়ির পাশে মাঠে চড়াতে দেয় তার ছেলে মেহেদী হাসান। প্রতিদিনের মতো বিকেলে গরুগুলো মাঠ থেকে আনতে যায় সে। গরু দুটি নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির পাশে আসা মাত্রই সে ধারালে দা দিয়ে গরুর লেজ কেটে দেয়। এতে লেজটি গরুর দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ সময় মেহেদী চিৎকার শুরু করলে তিনিসহ স্থানীয় লোকজন গরুটি উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
আক্তারুজ্জামান আরও জানান, অভিযুক্তের বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। সম্প্রতি অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ ঘটনায় আক্তারুজ্জামানকে দোষারোপ করে আসছিলেন মতিউর রহমান। এ নিয়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।
অভিযুক্ত মতিউর রহমান জানান, তিনি গরুর লেজ কাটেননি। তাকে ফাঁসাতে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছে আক্তারুজ্জামান।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন সামিউল বাছির জানান, গরুর দেহ থেকে পুরো লেজটিই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে গরুটিকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন আলী খান বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।