পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি ও গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের নেতৃত্বে হাইকমিশনের এক প্রতিনিধিদল বুধবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে দেশটির আগ্রহের কথা জানান তিনি।
এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপঙ্কর বর।
সাক্ষাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, একবার ব্যবহার্য ও চিকিৎসাসহ সার্বিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি ও গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।’
বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে উদ্দেশ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০-এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ঘোষণা করেছে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) চূড়ান্ত করে ৩১ আগস্টের আগেই ইউএনএফসিসিতে জমা দেবে। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
এ বছরের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন মন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানসহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বনেতারা ঐকমত্যে পৌঁছাবেন বলেও আশা করেন মন্ত্রী।
দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মিজানুল হক চৌধুরী, যুগ্ম সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের প্রধান জন ওয়ারবার্টনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।