নিখোঁজের ১১ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি চট্টগ্রাম নগরীতে নালায় পড়ে যাওয়া সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার বিপ্লব কুমার নাথ বুধবার রাতে নিউজবাংলাকে জানান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করবেন তারা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাজ করতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা আপাতত উদ্ধার অভিযান বন্ধ রেখেছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে আবার শুরু করবো।’
নগরীর মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনের ওই নালার গভীরতার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নালা খুব একটা গভীর নয়। সকালে ওই ব্যবসায়ী যখন পড়ে যান তখন পানি ভর্তি নালাটির গভীরতা ১০ ফুটের মতো ছিল। কিন্তু এখন পানি কমে গেছে, এখন গভীরতা চার ফুটের মতো আছে।’
সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদের নালায় পড়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নগরীর মধ্যে এত বড় নালা উন্মুক্ত থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নালাটি চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, ‘এখন বৃষ্টির কারণে আমাদের কাজ বন্ধ আছে। কাজ চলাকালীন সময়ে নালা বা খালের পাশে সতর্কবার্তা থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করার আগেও কিন্তু এই খালটি উন্মুক্ত ছিল। তাছাড়া ওই এলাকার লোকজন তো জানে রাস্তার পাশে নালা আছে। বিপদ তো কাউকে বলে আসে না। আর রাস্তার পাশে ফুটপাত আছে, সেটা পেরিয়ে নালা। ফুটপাত মূল সড়ক থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে। তবে আমাদের কাজ শেষ হলে আমরা ফুটপাত আরও উঁচু করে দেব যেন গাড়ি উঠতে না পারে। একই সাথে নালা বা খালের দুই পাশে ছোট করে রঙিন রেলিং দিয়ে দেব যেন মানুষ বুঝতে পারে এটা নালা বা খাল।’
বুধবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। তাকে উদ্ধারে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুই দফায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস।
ছালেহ আহমেদের বাড়ি পটিয়া উপজেলার মনসা চৌমুহনী এলাকায়। তিনি নগরীর চকবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী জানান সালেহ আহমেদ চকবাজার থেকে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডারি দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন। পথে ওই জলাবদ্ধ নালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।