বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার গণতন্ত্রকে লুট করছে: ফখরুল

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ২২:০১

‘যে সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেই সংবিধানকে তারা কেটে-ছিঁড়ে তছনছ করে দিয়ে ছদ্মবেশী একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং আবারও এখন তারা ছদ্মবেশী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।’

সরকার দেশে ‘ছদ্মবেশী’ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে লুট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে নাই। এই দলটি যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বলে মনে করে, যারা সারাক্ষণ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তারাই আজকে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে চলেছে। জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা সবাই লড়াই করেছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম, সেই গণতন্ত্রকে তারা হরণ করেছে, ধ্বংস করেছে এবং লুটে নিয়ে গেছে।’

‘যে সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেই সংবিধানকে তারা কেটে-ছিঁড়ে তছনছ করে দিয়ে ছদ্মবেশী একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং আবারও এখন তারা ছদ্মবেশী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।’

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ গেছে ১৯৭২ সালের পরে। এখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের যারা সত্যিকারের দাবিদার হতে পারে, যেমন যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম সাহেবের নামে তারা মিথ্যাচার করছে, অপপ্রচার করছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সব আকাঙ্ক্ষাকে তারা পদদলিত করছে।’

‘আমরা আজকে আহ্বান জানাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস না করে সত্যিকার অর্থেই দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করে এখানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নিন।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে বেলা দুইটায় বিএনপি মহাসচিব শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

সকাল থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কিছু নেতা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বিএনপি মহাসচিবও চন্দ্রিমা উদ্যানের মূল প্রবেশপথ থেকে হেঁটে সমাধিস্থলে আসেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের প্রবেশে বাধা প্রদানের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে যারা এখানে মুক্তিযোদ্ধা আছেন তারা অত্যন্ত পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের, সেই মুক্তিযোদ্ধা দলকে আজকে এখানে আসতে বাধা দেয়া হয়েছে, আজকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

'আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ আছি, আমরা ইতিপূর্বে সব সময় গাড়ি মাজারের কাছে নিয়ে আসতাম, সেটাও এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'

এ বিভাগের আরো খবর