২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে ঘোষণা দেয় হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চারটি শ্রেণিকরণ রয়েছে। তা হলো- নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও উচ্চ আয়ের দেশ। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের শ্রেণিকরণ অনুযায়ী আমরা আগে নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম। ২০১৫ সালে সেখান থেকে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের নতুন শ্রেণিকরণ হলো স্বল্প উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশ। এই বিভাজন অনুযায়ী আমরা ছিলাম স্বল্প উন্নত দেশ। বর্তমানে আমরা তা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছি।’
ড. শামছুল আলম বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। মাথাপিছু আয় ১২৭৩ ডলার হতে হয়, যা আামাদের অনেক আগেই হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক ৩২ এর নিচে থাকতে হয়, আমাদের আছে ২৭। মানবসম্পদ সূচক কমপক্ষে ৬৬ থাকতে হয়, যা আমাদের রয়েছে ৭৩ পয়েন্ট। আমরা এই শর্তগুলো দুইবার করে পূরণ করেছি- ২০১৮ ও ২০২১ সালে। শর্ত পূরণের তিন বছর পরেও তা ঘোষণা করা হয়নি। সেই অনুযায়ী ২০২৪ সালে ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। এত বড় দুটি অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করব, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যেন জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়। এত উন্নয়ন, উন্নতির পরেও জনগণের কাছাকাছি থাকতে হবে দলকে। দলের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব যেন না বাড়ে। দলের নেতা বা কর্মীদের প্রতি যেন বিতৃষ্ণা না বাড়ে। সমর্থকরা যেন তাদের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রাখে। ’
অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারী দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনিয়মের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। ক্যাসিনোরকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী তার আত্মীয়কেও মাফ করেননি। দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছে, সম্পদের খোঁজ নিচ্ছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণও নেয়া হচ্ছে। ’
এর আগে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।