বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ ও ২১ আগস্টের মূল কুশীলব জিয়া পিতা-পুত্র: বিচারপতি মানিক

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ২০:০৪

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নাম মুছে ফেলা। একইভাবে ২১ আগস্ট ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৫ আগস্টে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করা। এই দুটি হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের রক্তের মিল আছে। এ দুটি ঘটনার মূল কুশীলব ছিল পিতা-পুত্র।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব ছিলেন পিতা জিয়াউর রহমান ও পুত্র তারেক রহমান। ২৯ বছরের ব্যবধান হলেও এ দুটি ঘটনার মধ্যে প্রচুর মিল র‍য়েছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জেনারেল জিয়া থেকে তারেক জিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নাম মুছে ফেলা। একইভাবে ২১ আগস্ট ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৫ আগস্টে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করা। এই দুটি হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের রক্তের মিল আছে। এ দুটি ঘটনার মূল কুশীলব ছিল পিতা-পুত্র।’

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্র ছিল সে সময়ের প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে আর ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্র ছিল সরকারের প্রতিষ্ঠিতদের দ্বারা যেখানে সরকারি নির্দেশে প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে।

‘এই দুই দিবসেই কিছু লোক বিদেশি একটি দেশের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করেছে। ২১ আগস্টের হামলার ঘটনায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা অংশ নেয়ার কথা বিচারিক আদালতই বলেছেন। আর ১৫ আগস্টের ঘটনায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অংশ নিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে কুশীলব মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের সদস্য হলেও পরে জানা যায়, তারা শুরু থেকে পাকিস্তানপ্রেমী অর্থাৎ বিএনপি-জামাত আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ১৫ আগস্টের আগে দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে থাকা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।

‘একইভাবে ২১ আগস্টের আগে বিএনপি-জামায়াত সরকার মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ডিজিএফআই, এনএসআই এবং পুলিশ প্রধান পদে পদায়ন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমীরা এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এদের থামানো নাগরিকদের দায়িত্ব।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মওলানা আবুল হোসাইনসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর