নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে এক ব্যক্তিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দুবার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জজ মিয়া নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি মোহনগঞ্জ পৌর শহরের আল মবিন রোডে। শহরে তার মুদি দোকান আছে। গত ২৭ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে যান। স্বাস্থ্যকর্মী আলমগীর হোসেন প্রথমে তার ডান হাতে টিকা দেন। টিকা নিয়ে তিনি চেয়ারে বসেছিলেন। মিনিটখানেক পর আলমগীর আবার তার ডান হাতের একই জায়গায় টিকা পুশ করেন।
জজ বলেন, ‘আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার হাতে টিকা দিয়ে দিছে। এরপর বাসায় চলে গেছি।’
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ শামছুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জ্বর বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। শিগগিরই হাসপাতাল পরিদর্শনে যাব। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আলমগীরকে ফোন দেয়া হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগেও দেশের কয়েক জায়গা থেকে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। সবচেয়ে আলোচিত হয় নারায়ণগঞ্জের ওমর ফারুকের ঘটনা।
গত ২৬ জুলাই সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে টিকা নিতে যান ফারুক।
সেখানে প্রথমে একটি বুথে তাকে এক ডোজ টিকা দেয়া হয়। ফারুক ওই বুথের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পরবর্তী করণীয় জানতে চাইলে তাকে সামনের বুথের দিকে যেতে বলা হয়।
ফারুকের অভিযোগ, পরের বুথে গেলে তাকে আবার টিকা দেয়া হয়, এরপর সামনের আরেকটি বুথ থেকে দেয়া হয় টিকার আরেকটি ডোজ।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। ফারুকের নিখোঁজের খবরও পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, তাকে বিএসএমএমইউতে পর্যবেক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।