কলকাতার বিকাশ ভবনের সামনে মঙ্গলবার যেসব শিক্ষিকা বিভিন্ন দাবিতে এবং অন্যত্র বদলি প্রতিবাদে পুলিশের উপস্থিতিতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তাদেরকে বিজেপির ক্যাডার বলে মন্তব্য করে বুধবার একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী তার ফেসবুক পোস্ট লিখেছেন, ‘বাম সরকারের আমলে এই সমস্ত সহায়ক শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিরাপত্তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা বলে কিছুই ছিল না।’
‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এইসব এসএসকে এবং এমএসকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটা সুসংবদ্ধ রূপ দেন। সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসে ১০ হাজার ৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা করা হয়। এছাড়া বার্ষিক ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়।’
‘প্রত্যেককে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। যারা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাদের এককালীন তিন লক্ষ টাকা অবসর ভাতা ও ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে।’
‘নারীদের জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্য বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেয়া হয়েছে।’
এরপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আন্দোলনকারীদের কড়া সমালোচনা করে লেখেন, ‘তার পরও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন বিজেপি ক্যাডার।’
প্রসঙ্গত বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা, পাঁচজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। ওই পাঁচ শিক্ষিকা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থ শিক্ষিকাদের দেখতে বুধবার হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা।
তারপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এই ফেসবুক পোস্ট।