বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রূপপুর প্রকল্পের পর্দার দরপত্র বাতিল

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৮:১৫

কেন বাতিল করা হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘কমিটি কিছু ত্রুটি পেয়েছে। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় প্রস্তাব দুটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকল্প দুটির পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।’

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের আবাসিক ভবনের জন্য পর্দা কেনার দর প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি দামে দর প্রস্তাব করায় জনশুমারি প্রকল্পের ট্যাব কেনার প্রস্তাবও বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রস্তাব দুটি কেন বাতিল করা হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘কমিটি কিছু ত্রুটি পেয়েছে। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় প্রস্তাব দুটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকল্প দুটির পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।’

বাতিল হওয়া প্রথম দর প্রস্তাবটি ছিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সে পর্দা সরবরাহ করা। ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের একটি ২০ তলা ভবন এবং একটি ১৬ তলা ভবনের ১৯৬টি ইউনিটের পর্দার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৫ টাকা।

অপর দর প্রস্তাবটি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্প সংক্রান্ত। আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর মাঠ পর্যায়ে জনশুমারির তথ্য সংগ্রহে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ক্রয় কমিটি পরীক্ষা করে প্রকল্প দুটির কেনা কাটায় কিছু ত্রুটি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, নিয়ম-কানুন যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়। সেজন্য প্রকল্প দুটির দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এগুলোর আবার টেন্ডারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

৬০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানি করা হবে

বৈঠকে কাতার ও সৌদি আরব থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে কাতারের কোম্পানি মোন্তাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১৮ কোটি টাকা।

এ ছাড়া, সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন বা সাবিকের কাছ থেকে তৃতীয় লটে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সার আনতে মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর