ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হওয়া গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে আদালতে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এনামুল হক এনুসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপর দুই আসামি হলেন এনুকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার সহায়তাকারী গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা হারুনুর রশীদ এবং ওয়ারীর বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট জমা দেন। তা ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দেখেছেন বলে জানা গেছে।
দুদকের আদালতের উপপরিচালক মো. জুলফিকার বুধবার এ তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ চৌধুরী ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মামলা করেন।
একই দিনে মামলা হয় এনুর ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ১৯ জানুয়ারি তাদের দুই ভাইকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে এনু জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আসামি হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদ অসৎ উদ্দেশ্যে যথাক্রমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনুকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। তারা ওই সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন।
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার এনামুল হক এনু পুরান ঢাকা এলাকায় প্রভাবশালী। ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনাসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যরা অল্প সময়েই বিপুল অর্থের মালিক বনে যান। গত বছরের শুরুতে এনু-রুপনের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়।