বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র সেরে উঠবে কবে

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৩৫

অন্তঃসত্ত্বা আমেনা বেগম বলেন, ‘গত সপ্তাহে এসে ফিরে গিছি, আজও একই অবস্থা। হাসপাতালে আসলেই বলে গাইনির ডাক্তার নাই। আমরা গরিব মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে গেলে পাঁচশত টাকা ভিজিট লাগবে। সেটা দেয়ার মতো অবস্থা আমাদের নাই। তাই দুশ্চিন্তায় আছি।’

জেলার একমাত্র সরকারি মাতৃসেবা প্রতিষ্ঠান রাজবাড়ী মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র। পাঁচমাস ধরে কেন্দ্রটিতে নেই কোনো গাইনি চিকিৎসক। রয়েছে জনবল সংকট। ব্যাহত হচ্ছে সেবা।

শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার এই ২০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সেবা। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অপারেশন। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন জেলার পাঁচটি উপজেলার কয়েক হাজার প্রসূতি ও অন্তঃসত্ত্বা।

এই হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র চিকিৎসক আব্দুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে জানান, জেলার দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে আসেন কেন্দ্রটিতে। ৮ মার্চ থেকে কেন্দ্রে গাইনি চিকিৎসকের পদ শূন্য। অফিস সহকারীর পদটিও শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দুজন সিনিয়র নার্স ও দুজন নার্সের পদের বিপরীতে কাজ করছেন একজন করে। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সবগুলো পদও শূন্য।

ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটারটিও বন্ধ রয়েছে অনেকদিন ধরে। এ ছাড়া কেন্দ্রের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্সও প্রায় অচল। এসব কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা অসুস্থ নারী ও শিশুদের।’

গাইনি চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে জেলার প্রসূতি নারীদের বেশি অর্থ ব্যয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। অনেকে টাকার অভাবে নিতে পারছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, একজন নার্স ও একজন চিকিৎসক সব রোগীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক ও নার্সের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

সদর উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা আমেনা বেগম এসেছেন এখানে চিকিৎসা নিতে।

তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে এসে ফিরে গিছি, আজও একই অবস্থা। হাসপাতালে আসলেই বলে গাইনির ডাক্তার নাই। আমরা গরিব মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে গেলে পাঁচশত টাকা ভিজিট লাগবে। সেটা দেয়ার মতো অবস্থা আমাদের নাই। তাই দুশ্চিন্তায় আছি।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম আযম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৮ মার্চ গাইনি চিকিৎসক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি করোনায় মারা গেছেন। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে হবে বলে আশা করা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর