বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মা-ছেলেকে ‘অপহরণ’: সিআইডির এএসপিসহ গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৫:১৯

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সিআইডির তিন পুলিশ সদস্যকে। তাদের আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে আটক রংপুর সিআইডির এএসপিসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

ওসি জানান, বুধবার দুপুরে করা অপহরণের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।

মামলাটি করেছেন চিরিরবন্দরের খলিলুর রহমান। অপহরণ হওয়া নারী তার ভাইয়ের স্ত্রী।

সদর উপজেলার বাঁশেরহাট থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করা হয় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ারসহ তিনজনকে। তাদের জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হলে বুধবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিউজবাংলাকে খলিলুর বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় তার ভাই লুৎফর রহমান স্থানীয় বাজারে যান। সে সময় বাড়িতে ছিলেন লুৎফরের স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ।

বাদীর অভিযোগ, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল রাত সাড়ে ৯টায় ওই বাড়িতে যায়। তারা লুৎফরকে আটক করতে এসেছে বলে জানায়। লুৎফরকে না পেয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারও তারা লুট করে। এরপর লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।

লুৎফরের ভাগনে শামসুল আলম মানিক নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার পর থেকে লুৎফরকেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তাদের মোবাইল নম্বরে দফায় দফায় ফোন করে বলা হয়, জহুরা ও জাহাঙ্গীরকে মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে।

বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানান মানিক ও খলিলুর। এরপর থানার পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে মুক্তিপণের টাকা নিতে অপহরণকারীদের মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাটে আসতে বলা হয়।

অপহরণকারীরা মঙ্গলবার বাঁশেরহাট এলে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ তাদের আটক করে। উদ্ধার করা হয় জহুরা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরকেও। তবে এখনও লুৎফরের হদিস মেলেনি।

রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, চিরিরবন্দরে আটক তিনজন রংপুর সিআইডির সদস্য।

তিনি বলেন, ‘সিআইডির এই সদস্যরা ২১ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। এ সময়ে তাদের কোনো অভিযোগ তদন্তে দিনাজপুর যাওয়ার কথা না। অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে তারা গিয়েছিলেন। কেন তারা এ কাজ করেছেন তা আমি জানি না। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর