বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর নয়

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৫৭

বৈঠকের সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর নয়, আমরা ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারা দেশের জন্য এটা করব।’

কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কোনো অধিদপ্তর গঠন করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, অধিদপ্তরের পরিবর্তে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট (আইভিএম) বাস্তবায়ন করা হবে।

সচিবালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য ১১তম আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয় বুধবার। ডেঙ্গু পরিস্থিতির পাশপাশি কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তর নয়, আমরা ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারা দেশের জন্য এটা করব।’

গ্রামে এডিস মশা বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটাই সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা না। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে, পানি জমা থাকলে সমস্যা।

‘যদি ছাদবাগান করেন, তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দেন। এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না।’

কীটনাশক সহজলভ্য করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে একটা কোম্পানি কীটনাশক আমদানি করত। এখন ওপেন করে দেয়া হয়েছে। এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে। সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করব।’

‘৫০ টাকার কেরোসিন দিন’

নিজের বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। লার্ভা পাওয়ায় ভবনমালিককে পাঁচ লাখ টাকাও জরিমানা করা হচ্ছে, কিন্তু ওখানে তারা ৫০ টাকার কেরোসিন ছিটিয়ে দিলে এই জরিমানা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছি। সারা বছর কীভাবে ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে পারি সেই পরিকল্পনা আমরা করেছি।

‘সবাইকে বাসা-বাড়ি পরিস্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের হটস্পটগুলো আগেভাগে নির্ধারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কাজ করতে হবে। সেটি আগে করলে আমরা অন্যভাবে পরিকল্পনা নিতে পারি।’

মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের জন্য আমরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠাব, আপনি এটা বিবেচনা করবেন। আমরা মনে করি ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে শহরকে নিরাপদ করতে পারব।’

‘দায়ী প্রতিকূল আবহাওয়া’

বাংলাদেশে এডিস মশা বিস্তারের অন্যতম কারণ আবহাওয়া বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, এবার বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে এলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে পারব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এডিস মশার অভয়ারণ্য হয়ে থাকে আবহাওয়ার কারণে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে এডিস মশার বিস্তার বেশি হবে। শ্রাবণ মাসের পুরোটাই বৃষ্টি হয়েছে, ভাদ্রেও বৃষ্টি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে মশার উৎসস্থল ব্যাপক। বিশেষ করে ছাদ বাগান এডিস লার্ভার ছোট ছোট আধার, যা ধ্বংস করা দুরূহ। এর পরেও বিশাল কর্মযজ্ঞের কারণে আমরা ঢাকাবাসীকে এডিস মশা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারছি এবং এই মশার বিস্তারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাপস বলেন, ‘২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ৫২ হাজার ৬৩৬ জন। সেটা এ বছর কমিয়ে ৫ হাজার ৯১৭ জনে রাখতে পেরেছি।’

এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৫ জন মারা গেছেন জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

মেয়র বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টদায়ক, বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে আমি মনে করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

ডেঙ্গু রোধে কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গুর তথ্য চাইতে ফোন করলে অনেকে বিরক্ত হন। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। সকলের প্রচেষ্টায় এটা কমিয়ে আনা সম্ভব।’

এ বিভাগের আরো খবর