বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার্যালয় থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তোলা পিআইওর বদলি

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১২:১৬

টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি- শিক্ষা ও আইসিটি) শতরূপা তালুকদারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডিসি। তদন্ত শেষে এডিসি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রিয়াদের বদলির এই নির্দেশ আসে।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ তোলা রামগতির পিআইও রিয়াদ হোসেনকে বদলি করেছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মঙ্গলবার তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। তিনি জানান, নতুন পিআইও যোগদান না করা পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন সদর উপজেলার পিআইও মোশারফ হোসেন।

রামগতি উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রশাসন-১ অধিশাখার উপসচিব হাবিব উল্ল্যাহ বাহারের স্বাক্ষর করা চিঠিতে পিআইও রিয়াদের বদলির নির্দেশ দেয়া হয়। তাকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।

টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি- শিক্ষা ও আইসিটি) শতরূপা তালুকদারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডিসি। তদন্ত শেষে এডিসি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রিয়াদের বদলির এই নির্দেশ আসে।

ডিসি আনোয়ার নিউজবাংলাকে জানান, তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বদলি করা হয়েছে পিআইওকে। তবে তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা জানাননি তিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা শতরূপা তালুকদারও।

রিয়াদ হোসেন রামগতি উপজেলার পিআইও থাকা অবস্থায় কমলনগর উপজেলার পিআইও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কমলনগরে থাকার সময় গত ২৮ জুন রাতে কার্যালয় থেকে টাকা চুরির অভিযোগে চার কর্মচারীকে থানায় নিয়ে যান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও পরদিন সকালে আবারও চারজনকে থানায় ডাকা হয়। তবে কত টাকা খোয়া গেছে নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি পিআইও।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন সে সময় নিউজবাংলাকে জানান, রিয়াদ তার অফিস সহকারী আবদুল বাকেরসহ চারজনকে নিয়ে রাতে থানায় হাজির হন। তিনি অভিযোগ করেন, কার্যালয়ে তার কক্ষের আলমারি থেকে কয়েক লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। এই চার কর্মচারী টাকা চুরি করেছেন।

ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘রিয়াদ বলেছেন ঠিক কত টাকা ছিল সে হিসাব তার নেই। কখনও বলেন ৭ লাখ, কখনও ১০ লাখ টাকা। রিয়াদ ও চার কর্মচারীকে আলাদাভাবে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কেউই পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি। কারও সঙ্গে কারও কথাও মেলেনি। এ কারণে চারজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সকালে আবার তাদের থানায় আনা হয়েছে।’

ওসি জানান, টাকা চুরির অভিযোগ করলেও রিয়াদ হোসেন কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ দেননি। এত নগদ টাকা কোত্থেকে এলো, জানতে চাইলে রিয়াদ দাবি করেন, এগুলো বিভিন্ন লাইসেন্স ও কালেকশনের টাকা। তবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য তিনি দেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সে সময় কয়েকজন ঠিকাদার নিউজবাংলাকে জানান, টেন্ডারের পে-অর্ডার হয় চেকের মাধ্যমে। ঠিকাদারের সঙ্গে সব লেনদেন হয় চেকে। পিআইওর কাছে এসব নগদ টাকা বৈধ নয়।

এক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, পিআইও রিয়াদ ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল বা বিলের চেকে সই করেন না। কয়েক মাস আগে কয়েকটি কাজের বিলের চেকে সই করার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে তিনি ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তার মূল কর্মস্থল রামগতি উপজেলায়। এখন কমলনগরে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। দুই উপজেলার ঠিকাদার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে জিম্মি।

এ বিভাগের আরো খবর