বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনহা হত্যা: চলছে শেষ দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১০:৩৮

মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘আমাকে সারা দিন প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতের আইনজীবী জেরা করেছেন। আমি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এরপরে সিফাতের জবানবন্দি শুরু হয়েছে। এটি বিচারাধীন বিষয়। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাব।’

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলছে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ।

জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে বুধবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার আদালতে সিনহা হত্যা মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত, লিটন মিয়ার আইনজীবী মো. শওকত মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌসকে জেরা করেন।

এরপর সন্ধ্যায় মামলার আরেক সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাইদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাকে আংশিক জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বুধবার তাকে জেরা শেষে অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হবে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।

প্রথম দফার তৃতীয় ও শেষ দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ মামলার ১৫ আসামিকে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সন্তোষ বড়ুয়া জানান, চলতি বছরের ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটির অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন।

তিনি জানান, তিন দিনে পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছে।

প্রথম দিন তিনজন ও দ্বিতীয় দিনে পাঁচজন সাক্ষীর হাজিরা নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

তারা হলেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও মো. হাফেজ।

মামলার অপর সাক্ষীরা হলেন শামলাপুর এলাকার আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রণধীর দেবনাথ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রথম ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যের জন্য আদালত থেকে সমন দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সেরেস্তাদার নুরুল কবির।

সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম জানান, সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে জেরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

তিন দিনে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

পরবর্তী আবারও সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করতে পারে আদালত।

ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘মেজর সিনহার হত্যা মামলায় উভয় পক্ষ ন্যায়বিচার পেতে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করতে হবে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিডিয়া যেভাবে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তা মোটেও কাম্য নয়।

‘বিচার কার্যক্রম চলাবস্থায় আদালতের বাইরে অহেতুক এ ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল ন্যায়বিচারকে ব্যাহত করে। কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি চূড়ান্ত বিচারের রায়ে দণ্ডিত না হওয়া পর্যন্ত কখনো অপরাধী সাব্যস্ত হন না। বিচারের আগে আসামি শুধু অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হন।’

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে সারা দিন প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতের আইনজীবী জেরা করেছেন। আমি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। এরপরে সিফাতের জবানবন্দি শুরু হয়েছে।

‘এটি বিচারাধীন বিষয়। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাব।’

যেভাবে নিহত হন সিনহা

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।

পরে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্যসহ পুলিশের তিন সোর্সকে।

চার মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।

এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর