আফগানিস্তানকে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বাংলাদেশ।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে আফগানিস্তানের চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে মোস্তাফিজুর এ কথা জানান।
জেনেভায় জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মোস্তাফিজুর বলেন, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংলাপ জরুরি।
তিনি বলেন, ‘একটি অস্থিতিশীল আফগানিস্তান আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, দায়িত্বশীল ও কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বাংলাদেশ।’
মোস্তাফিজুর একটি ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া তিনি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আরেকটি মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্য জাতিসংঘকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসহ শতাধিক দেশের অনুরোধে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এ বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করে।
অধিবেশন শেষে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা জোরদারকরণ’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হাতে ক্ষমতা আসার পর প্রায় ৫০ হাজার বিদেশি ও আফগান নাগরিক দেশটি ছেড়েছেন।
এমন বাস্তবতায় আফগানিস্তানে নতুন করে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।