বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা দেখে আসার পর আইভিকে মৃত ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে আমার আইভি চাচির কথাই বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা অবাক কাণ্ড আপনারা হয়তো জানেন না, তাকে সিএমএইচএ নিয়ে যাওয়ার পর আমরা ঠিক জানি না কখন কোন মুহূর্তে চাচির মৃত্যু হয়েছে। তার ছেলে-মেয়েরা তার কাছে ছিল। সে সময় খালেদা জিয়া তাকে দেখতে যাবেন বলে তার ছেলে-মেয়েদের একটা কামরায় নিয়ে তালা মেরে রাখে।

গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আইভি রহমানকে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেখে আসার পরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার একনেক সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে আমার আইভি চাচির কথাই বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা অবাক কাণ্ড আপনারা হয়তো জানেন না, তাকে সিএমএইচএ নিয়ে যাওয়ার পর আমরা ঠিক জানি না কখন কোন মুহূর্তে চাচির মৃত্যু হয়েছে। তার ছেলে-মেয়েরা তার কাছে ছিল। সে সময় খালেদা জিয়া তাকে দেখতে যাবেন বলে তার ছেলে-মেয়েদের একটা কামরায় নিয়ে তালা মেরে রাখে।

‘প্রায় ৩/৪ ঘণ্টা ছেলে নাজমুল হাসান পাপন, বোন তানিয়া, ময়না এদের সবাইকে একটা রুমে তালা দিয়ে রেখে খালেদা জিয়া যান আইভি রহমানকে দেখতে। আর খালেদা জিয়া যখন দেখে ফিরে আসেন তারপরই মৃত ঘোষণা করা হয় আইভিকে। একথাটা অনেকেরই জানা নেই, আমি এটা জানিয়ে রাখলাম যে কতবড় নৃশংসতা এরা করতে পারে।’

এ সময় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘শুধু হত্যার চেষ্টাই না, হত্যার পর লাশ নিয়েও তারা যে কর্মকাণ্ড করেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ তারা আত্বীয়-স্বজনের কাছে দিতে চায়নি।

‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দলের সমর্থক এবং যারা জীবিত তারা যেহেতু সাহায্য করতে যায় এবং সারারাত তাদের চেষ্টার পর একে একে সেই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। লাশটা পর্যন্ত দিতে চায়নি তারা। পারলে লাশটা গুম করে ফেলতো, এই ছিল অবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘একে একে অনেকেই আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আহতদের দেশে, ভারতে এবং অন্য দেশে পাঠিয়েও চিকিৎসা করানো হয়েছে। যাদের অনেকেই আজ আর নেই। অনেকেই পঙ্গু হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

‘আহতদের আমরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট থেকে সহায়তা দিয়েছি এবং সে সময় একটা আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে যে ফান্ড এসেছে তা থেকে চিকিৎসাধীন প্রত্যেককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছি এবং এখনও আমরা দিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আহত যাদের চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের সহায়তা দিচ্ছি। মাসোহারা দিচ্ছি, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, বিয়ে-সাদী যত রকমের সহযোগিতা দরকার আমি এখনও তা করে যাচ্ছি। যাদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল আর্থিকভাবে তাদের সহায়তা করা এখনও অব্যাহত আছে।’

এ সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানসহ অন্যান্যদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চান সরকার প্রধান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে এক ডজনেরও বেশি গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত এবং অন্তত ৫ শ নেতাকর্মী, পথচারি ও সাংবাদিক আহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর