আলোচিত ই-কমার্স সাইট ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের অধিভুক্ত কেন্দ্রীয় ই-কমার্স শাখা থেকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ে পাঠানো হয় এই চিঠি। এতে তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক আর্থিক বিবরণীসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
ডব্লিউটিও সেলের উপসচিব (কেন্দ্রীয় ই-কমার্স শাখা) মুহাম্মদ সাঈদ আলীর সই করা চিঠিতে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ২ বছরে গ্রাহকের সঙ্গে ই-অরেঞ্জের আর্থিক লেনদেন তথ্য চাওয়া হয়।
ই-অরেঞ্জের মোট সম্পদের পরিমাণ (স্থাবর-অস্থাবর), গ্রাহকের কাছে মোট দেনার পরিমাণ এবং এই দেনার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে চলতি মূলধনের পরিমাণ জানাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ই-কমার্স খাতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, একই বিভাগ থেকে বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকেও (এনবিআর) একটি পাঠানো হবে। ওই চিঠিতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ই-অরেঞ্জের গত দুই বছরের আয় এবং আয়ের ওপর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া রাজস্বের পরিমাণসংক্রান্ত তথ্য দেয়ার অনুরোধ করা হবে।
এ ছাড়া, ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বে থাকা এবং গ্রাহকের মামলায় অভিযুক্ত সব কর্মকর্তার আয়-ব্যয় ও রাজস্বসংক্রান্ত তথ্যও চাওয়া হবে ওই চিঠিতে।
আলেশা মার্টসহ ৮ কোম্পানির তথ্য চেয়ে চিঠি
আলেশা মার্টসহ ৮ ই-কমার্স কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক পরিস্থিতির তথ্য চেয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কোম্পানিগুলো হলো- ধামাকা, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদীনের প্রদীপ, কিউকম, বুমবুম, আদিয়ান মার্ট ও নিডডটকমডটবিডি।
চিঠিতে ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে কোম্পানিগুলোর মোট দায়ের পরিমাণ এবং কোম্পানিগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণসহ অন্যত্র অর্থ স্থানান্তর করেছে কি না, এসব তথ্য চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে পণ্য কেনার পরও বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ আর্থিক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে জানান হাফিজুর রহমান।