করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জোরালো ইঙ্গিত মিলছে। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, করোনা শনাক্ত হার একটু কমলেই ধাপে ধাপে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে খোলার পর আগের মতো সব শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহের ছয় দিন হবে না বলে জানালেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেভাবে সংক্রমণের হার ক্রমেই নিচে নেমে আসছে, এটা আমাদের জন্য সুখবর। এই নিম্নগতি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে খুব শিগগিরই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
‘তবে ধাপে ধাপে খুলব। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। কারণ এ অসুখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই শুরু থেকেই সপ্তাহে ছয় দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। একটু সময় নিয়ে হবে সেটা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু অপেক্ষা সংক্রমণের হার আরেকটু নিচে নামার।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। জানিয়েছেন, স্কুলগুলো খুলে দিতে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে কালই খুলে দেবেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কবে নাগাদ খোলা হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বলতে পারব না, কবে নাগাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে, আমাদের যদি আজকে বলে আমরা কালকেই প্রস্তুত আছি।’
খোলার জন্য প্রস্তুতি চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুলে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। ছবি: সাইফুল ইসলাম
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে সব প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে এক নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শিক্ষক উপস্থিত থাকতে বলা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে মাউশি থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।