বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২১ আগস্টের দায় এড়াতে পারেন না খালেদা: হানিফ

  •    
  • ২৪ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৪৪

‘২০০৪ সালের এ ঘটনা ছিল সবচেয়ে নৃশংস নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা; যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে ঘটেনি। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। আমরা দেখি, আগস্ট মাস এলে বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে গরম হয়ে মিথ্যাচার করে।’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, ‘১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এর নেপথ্যের কারিগরও একজনই, উদ্দেশ্যও একই ছিল। একাত্তরে পরাজিত হয়ে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে তাদের স্বপ্নপূরণ কখনোই হবে না। তাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করতে হবে। ২১ আগস্টের আগেও বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করতে বহুববার চেষ্টা করা হয়েছে।

‘ষড়যন্ত্রকারীরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর থেমে যায়নি। একের পর এক তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কারণ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা জানে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন স্বাধীনতাকে নস্যাৎ, ধ্বংস করা যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন পথচলা রোধ করা যাবে না। এ জন্যই শেখ হাসিনাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে। এই প্রতিটি ঘটনাই বিএনপি-জামায়াত ঘটিয়েছে।’

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘২০০৪ সালের এ ঘটনা ছিল সবচেয়ে নৃশংস নির্মম হত্যাকাণ্ড; যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে ঘটেনি। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। আমরা দেখি আগস্ট মাস এলে বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে গরম হয়ে মিথ্যাচার করে।’

‘বিএনপিকে বহুবার বলেছি, ২১ আগস্ট ঘটনার সঙ্গে আপনারা জড়িত, তার বহু প্রমাণ রেখে গেছেন। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে পথচলা শুরু করুন। জনগণ ক্ষমা হয়তো করতে পারে, স্বজন হারানোরা ক্ষমা করবে না। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি যদি জড়িত না থাকে, তাহলে কেন এত নাটক-মিথ্যাচার করা হলো?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর যে মামলা হয়েছে তার রায় হয়েছে, তাতে কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, কিছু আসামিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই বিচারে অনেকেই খুশি হতে পারেননি। কারণ এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের মৃত্যুদণ্ড জাতি প্রত্যাশা করেছিল, সেটা হয়নি।

‘এ জন্য হয়তো অনেকের মনে কষ্ট আছে। তারপরও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা বিশ্বাস করি, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের মধ্য দিয়ে এ দেশে হত্যা-সন্ত্রাসের পথ চিরতরে বন্ধ হবে। তাহলে যারা ২১ আগস্টের ঘটনায় প্রাণ দিয়েছে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর