নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসনচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুইজন এক পরিবারের।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হচ্ছে ভাসাচরের ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের বি-৯/১০ নম্বর কক্ষের দলিলুর রহমানের বড় ছেলে ৯ বছরের জামাল হোসেন, তার ভাই ৬ বছরের আনিসুর রহমান ও ১১/১২ নম্বর কক্ষের আব্দুর সবুরের ৫ বছরের মো. হাফসা।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, সকালে ৫৪ নম্বর ক্লাস্টার থেকে জামাল, আনিসুর, হাফসা ও জুনায়েদ নামের ৪ শিশু চেয়ারম্যান দীঘি এলাকায় খেলতে যায়। অসাবধানতার কারণে হঠাৎ লেকের পানিতে পড়ে যায় জামাল, আনিস ও হাফসা। জুনায়েদ দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। তিন শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুদের মরদেহ তাদের পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান এসপি।
ক্যাম্প ইনচার্জ শামীমা আক্তার জানান, ৬ ধাপে ভাসানচরে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা স্থানান্তর করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়।
২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় অবকাঠামো নির্মাণ।
হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। সেসব এক লাখ রোহিঙ্গার বাসযোগ্য করা হয়।