মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ রাখার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বইমেলায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়।
মেলায় প্রকাশকদের ওপর হামলার হুমকি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের বইমেলায় প্রকাশকদের ওপর হামলার হুমকি নেই। তবে বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে।
‘সেটি মাথায় রেখেই আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কি না, আমরা খোঁজ রাখছি।’
কৃষ্ণপদ বলেন, ‘অতীতের ঘটনা মাথায় রেখেই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কি না, সে ব্যাপারেও আমরা নজরদারি করছি। যথাসময়ে তথ্য পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পর এবার শুরু হচ্ছে বইমেলা। ১৮ মার্চ বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসছে এই মেলা।
সংবাদ সম্মেলনে মেলার নিরাপত্তা নিয়ে কৃষ্ণপদ রায় জানান, এবারের বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। সাদাপোশাকে একটি ব্যবস্থাপনা থাকবে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে থাকবে; গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিবির টিম থাকবে। প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে থাকবে। নির্দিষ্ট প্রবেশপথ থাকবে; বাইরে যাওয়ার পথও নির্দিষ্ট থাকবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, একটি ভিন্ন সময়ে বইমেলা শুরু হচ্ছে।প্রতিবছর যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, এবারও একই ধরনের নিরাপত্তা থাকছে। যারা বইমেলায় আসেন তারা প্রবেশপথে পুলিশকে সহযোগিতা করেন। সবার স্বার্থেই এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবার একটি অতিরিক্ত প্রবেশপথ যুক্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অথবা শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা জানেন, রাস্তাঘাটে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, এ জন্য অতিরিক্ত গেট রাখা হয়েছে। এবার কিছু কিছু নিরাপত্তাকাঠামোতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
‘আমাদের মোবাইল পেট্রল থাকবে, ফুট পেট্রল থাকবে। যারা বইমেলায় আসবেন, শুধু তারাই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
‘আমরা বাংলা একডেমির সঙ্গে কথা বলেছি। মেলা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। তবে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ছাড়া এ পথে গাড়ি প্রবেশ করবে না।
করোনাভাইরাসের মধ্যে এবারের বইমেলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ডিএমপির কোনো নির্দেশনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আসবেন তারা অবশ্যই মাস্ক পরে আসবেন। প্রতি গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে।’