দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের শপথ কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সংসদ সচিবালয় মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু রায়হান বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
স্পিকার বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে বিশ্বসভায় আত্মপরিচয় নিয়ে চলার পথ তৈরি করে দেয়া তথা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, লাল-সবুজের পতাকা, ১৯৭২এর সংবিধান দিয়ে গেছেন বিশ্ববরেণ্য ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার বন্ধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
‘দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন। তার ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ আজ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। দুঃখের বিষয়, বিশ্বের ইতিহাসের জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ সময় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।’
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে, যার মূল উদ্দেশ্য জাতির পিতার আদর্শ, দর্শন ও চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ১২৮টি অডিও ভাষণ সংসদ লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ, মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ ওয়েবসাইট তৈরি, শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর ১০০ উক্তি, বঙ্গবন্ধু আর্কাইভ, বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আরও অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনকে আগামী প্রজন্মের কাছে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে তুলে ধরার বিভিন্ন উদ্যোগ মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত হয়েছে।
হুইপ আতিকুর রহমান এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, ‘যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না, আমরা এমপি, মন্ত্রী হতে পারতাম না, ব্যাংক-বিমা-কর্পোরেশন কিছুই হতো না, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক তারিক মাহমুদ ও উপ পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি করেন। সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ, উপ পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন, ডাক্তার সাইফুল আলম, জয়ন্ত সরকার, খুরশিদা খাতুন, নাজমুন্নাহার পুতুল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করেন।